নিশ্চয়ই মুসলিমদের বিরুদ্ধে কাফিরদের সাহায্য ও সমর্থন করা—এটি এমন এক কুফরি কাজ যা একজন ব্যক্তিকে ইসলাম থেকে বের করে দেয়। এই বিষয়ে অতীত ও বর্তমান সকল যুগের সম্মানিত এবং নির্ভরযোগ্য উলামায়ে কেরাম একমত।
শাইখ, ইমাম, মুজাদ্দিদ মুহাম্মাদ ইবনু ‘আবদুল ওহ্হাব (রহিমাহুল্লাহ) বলেছেন:
অষ্টম ইসলাম বিনষ্টকারী বিষয়: মুশরিকদেরকে সমর্থন করা এবং তাদের মুসলিমদের বিরুদ্ধে সহায়তা ও সাহায্য করা। এর দলিল হলো মহান আল্লাহর ﷻ বাণী:
“ومن يتولهم منكم فإنه منهم إن الله لا يهدي القوم الظالمين”
“তোমাদের মধ্যে যারা তাদের বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করবে, নিশ্চয়ই সে তাদেরই একজন। নিশ্চয়ই আল্লাহ জালিমদেরকে হিদায়াত দেন না।”
(সূরা মায়িদাহ, আয়াত- ৫১)
আল্লামাহ আবদুল্লাহ ইবনু আবদুল লতীফ (রহিমাহুল্লাহ)-কে মুওয়ালাত (ভালোবাসা) ও তাওয়াল্লি (আনুগত্য/সহযোগিতা) এর মাঝে পার্থক্য সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন:
“তাওয়াল্লি হল এমন এক কুফরি কাজ যা ইসলাম থেকে বের করে দেয়, যেমন তাদের (কাফিরদের) সাহায্য করা জীবন, সম্পদ ও মতামতের মাধ্যমে…”
শাইখ, আল্লামাহ আহমদ শাকির (রহিমাহুল্লাহ) কাফিরদের সহায়তা ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশগ্রহণের হুকুম ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন:
“বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে অবস্থানরত প্রত্যেক মুসলমানের উপর আবশ্যক হয়ে যায় তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা এবং তাদের হত্যা করা, তারা সামরিক হোক বা বেসামরিক…”
তিনি আরও বলেন:
“…ব্রিটিশদের সাথে সহযোগিতার যেকোনো রূপ, তা যতই ক্ষুদ্র বা বড় হোক, চরম ইরতিদাদ ও স্পষ্ট কুফরি। এতে কোনো অজুহাত গ্রহণযোগ্য নয়, কোনো ভুল ব্যাখ্যা বা মূর্খ জাতীয়তাবাদ, রাজনৈতিক প্রতারণা বা মুনাফিকি তোষামোদ দ্বারা এই হুকুম থেকে মুক্তি পাওয়া যায় না। ব্যক্তি, সরকার বা নেতা—যেই হোক, সবাই এই বিষয়ে সমানভাবে কুফর ও ইরতিদাদে লিপ্ত রয়েছে…”
তিনি আরও বলেন:
“সুতরাং প্রত্যেক মুসলিম পুরুষ ও নারীর জানা থাকা উচিত, যারা তাদের দ্বীনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এবং তাদের শত্রুদের সহযোগিতা করে—তাদের মধ্যে কেউ যদি বিবাহ করে, তাহলে সেই বিবাহ শুরু থেকেই বাতিল। তা কোনোভাবেই শুদ্ধ নয়, এমনকি তার কোনো ফলও কার্যকর হয় না—যেমন বংশ, উত্তরাধিকার ইত্যাদি।”
এই ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে বলা যায়, যে-ই মুসলিমদের বিরুদ্ধে কুফরী রাষ্ট্রগুলোর, যেমন আমেরিকা ও তাদের মিত্রদের সহায়তা করে, সে যে পদ্ধতিতেই সাহায্য করুক না কেন—সে একজন কাফির ও ইসলাম থেকে বের হয়ে যাওয়া মুরতাদ। কারণ, এই জঘন্য আগ্রাসন—যা অপরাধী বুশ এবং তার কুফরি ও অপরাধী সহযোগী টনি ব্লেয়ার চালিয়ে গেছে—তারা বলেছে যে, তারা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে। কিন্তু এটি আসলে ইসলামের বিরুদ্ধে পরিচালিত একটি নতুন ক্রুসেড যুদ্ধ, যা আগেও ইসলামের বিরুদ্ধে সংঘটিত হয়েছিল। বুশ নিজে মুখে এ কথা বলেছে—সে হোক ভুলবশত উচ্চারিত বা সচেতনভাবে—এটিই তাদের বিশ্বাস, কারণ তারা কুফর ও শিরকের নেতা।
‘আল্লামাহ শাইখ হামুদ ইবন ‘উকলা আশ-শু’আইবি
রজব ২১, ১৪২২ হিজরি (৮ অক্টোবর, ২০০১)
আত-তিবইয়ান ফী কুফরি মান আ’আনিল আমরিকান
— শাইখ নাসির আল-ফাহদ (فرج الله عنه)