ikhwah.central@gmail.com

ikhwah.central@gmail.com

আল্লাহর একটি বিধান পরিবর্তন করা পুরো শরীয়াহ পরিবর্তন করার মতো

আল্লাহর একটি বিধান পরিবর্তন করা, পুরো শরীয়াহ পরিবর্তন করার মতো। শাইখ সুলাইমান আল আলওয়ান – হাফিযাহুল্লহ। আল্লাহর আইন পরিবর্তন করা মূলত আল্লাহর শারীয়াহ পরিবর্তনের-ই প্রতিরূপ। তাই যে আল্লাহর আইন পরিবর্তন করে এবং তা বাস্তবায়ন করে তবে এটা শারিয়াহর পরিবর্তনের অনুরুপ। এবং আল্লাহর আইন প্রতিস্থাপন (তাবদীল) করাটা, আল্লহর বিধানের অবাধ্যতা বা অমান্য করার মতো নয় অপরাধ নয়। যে কেউ আল্লাহর একটি বিধান পরিবর্তন করবে, তবে তা হবে পুরো শরীয়াহ পরিবর্তন করার মতোই। আল্লাহ ﷻ বলেনঃ “তোমরা কি কিতাবের কিছু অংশে ঈমান রাখ আর কিছু অংশ অস্বীকার কর? সুতরাং তোমাদের মধ্যে যারা তা করে দুনিয়ার জীবনে লাঞ্ছনা ছাড়া তাদের কী প্রতিদান হতে পারে? আর কিয়ামতের দিনে তাদেরকে কঠিনতম আযাবে নিক্ষেপ করা হবে। আর তোমরা যা কর, আল্লাহ সে সম্পর্কে গাফিল নন।” [সূরাঃ আল-বাকারাহ – আয়াতঃ ৮৫] আল্লাহ ﷻ আরও বলেনঃ “নিশ্চয় কোন মাসকে পিছিয়ে দেয়া কুফরী বৃদ্ধি করে, এর দ্বারা কাফিররা পথভ্রষ্ট হয়, তারা এটি এক বছর হালাল করে এবং আরেক বছর…

আরো পড়ুনআল্লাহর একটি বিধান পরিবর্তন করা পুরো শরীয়াহ পরিবর্তন করার মতো

গণতন্ত্র- একটি নব উদ্ভাবিত দ্বীন

গণতন্ত্র একটি নব উদ্ভাবিত দ্বীন, যেখানে এর উদ্ভাবকরা হল মিথ্যা উপাস্য এবং অনুসারীরা হলো তাদের দাস। আবু মুহাম্মদ আসিম আল মাকদিসী -হাফিযাহুল্লাহ প্রথমত: আমাদের গণতন্ত্র (Democracy) শব্দটির উৎস সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। আমাদের সবার জানা থাকা উচিত যে এটা আরবী শব্দ নয়, এটি একটি গ্রীক শব্দ। দু’টি শব্দের সমন্বয়ে তা গঠিত হয়েছে: ‘গণ’ (Demos) অর্থ জনগণ এবং ‘তন্ত্র’ (Cracy) অর্থ হলো বিধান, কর্তৃত্ব বা আইন। গণতন্ত্রের শাব্দিক অর্থ হলো মানুষের দেয়া বিধান, মানুষের কর্তৃত্ব, বা মানুয়ের তৈরী আইন। গণতন্ত্রের সমর্থকদের মতে, এটিই গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় সম্পদ এবং এ কারণেই তারা এ ব্যবস্থার প্রশংসা করে এবং সমাজ ব্যবস্থা হিসেবে গণতন্ত্রকে অনেক উচ্চ মর্যাদা দেয়া হয়। একই সাথে, তা কুফর, শিরক, এবং মিথ্যা মতবাদের একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য যা ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক; কারণ আপনি জানেন, যে প্রধান কারণে আমাদের সৃষ্টি করা হয়েছে এবং যে কারণে কিতাবসমূহ নাযিল করা হয়েছে এবং নবী-রাসূলগণ প্রেরণ করা হয়েছে, আর যে ঘোষণা দেয়া আমাদের প্রত্যেকের জন্য আবশ্যক,…

আরো পড়ুনগণতন্ত্র- একটি নব উদ্ভাবিত দ্বীন

শাম প্রতিরক্ষায় মুসলিমদের করণীয়

আর এজন্য প্রয়োজন হলো মুসলিমদের সকল চেষ্টা-প্রচেষ্টাকে এক করা এবং তাদের জান ও মাল ব্যয় করা। যাতে করে শত্রুর আক্রমন প্রতিহত করা যায়। রক্ষা করা যায় নিজেদের জান ও মাল এবং মুরতাদদেরকে হত্যা করা যায়। আশ-শাম আল্লাহর মনোনিত শ্রেষ্ঠ ও বরকতময় ভূমি, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা শাম এবং এর অধিবাসীদের দায়িত্ব নিয়েছেন। এটি যুদ্ধের ভূমি, হাশরের ভূমি। সাইয়্যিদুনা ইবরাহীম আলাইহিস সালাম -এর হিজরতের ভূমি। মানুষকে জুলুম ও অবাধ্যতা থেকে ‍মুক্ত করার জন্য এই ভূমিতে ঈসা ইবনু মারইয়াম আলাইহিস সালাম -এর আগমণ এবং আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রেরিত হয়েছেন। শেষ যুগে এই ভূমিই হবে মুসলিমদের দুর্গ। আর সমগ্র দুনিয়ার নাভি অর্থাৎ, পৃথিবীর কেন্দ্রবিন্দু হলো আশ-শাম। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এই ভূমিতে ঈসা ইবনু মারইয়াম আলাইহিস সালামকে আশ্রয় দিয়ে তার প্রতি অনুগ্রহ করেছেন। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা ইরশাদ করেন:“আর আমি মারইয়াম-পুত্র ও তার মাকে নিদর্শন বানালাম এবং তাদেরকে আবাসযোগ্য ও ঝর্নাবিশিষ্ট এক উঁচু ভূমিতে আশ্রয় দিলাম।” [সূরাঃ আল-মুমিনুন – আয়াতঃ…

আরো পড়ুনশাম প্রতিরক্ষায় মুসলিমদের করণীয়

তাওহিদ বা ইমান ভঙ্গকারী বিষয়সমূহ

অজু-সালাত-সিয়ামসহ বিভিন্ন ইবাদত বিনষ্ট হওয়ার যেমন কিছু কারণ আছে, ঠিক তেমনই সকল ইবাদতের মূল ইমান বা তাওহিদ ভঙ্গেরও কিছু কারণ আছে। কিন্তু অত্যন্ত আফসোসের বিষয় হলো, বিভিন্ন আমল ভঙ্গের কারণ আমাদের জানা থাকলেও সকল আমলের ভিত্তিমূল ইমান ভঙ্গের কারণগুলো আমরা অধিকাংশ মুসলিমই জানি না; অথচ ওগুলোর চাইতে এটা জানার গুরুত্ব অনেকগুণে বেশি। কেননা, যে জিনিস যত দামী হয়, তা বিনষ্ট হওয়া থেকে রক্ষা করাটাও তত গুরুত্বপূর্ণ হয়। দুনিয়ার জীবনে একজন মুমিনের জন্য যেহেতু ইমানই সবচেয়ে দামী ও গুরুত্বপূর্ণ, তাই এটা বিনষ্ট হওয়ার কারণসমূহ জেনে তা থেকে ইমানকে রক্ষা করাটাও তার কাছে সবচেয়ে অগ্রাধিকার পাওয়ার যোগ্য হবে—এটাই স্বাভাবিক। ইমান ভঙ্গের কারণ কয়টি, এ নিয়ে অনেক আলিম ও গবেষকের মাঝে সংখ্যাগত কিছু মতপার্থক্য থাকলেও এটা মৌলিক কোনো মতভিন্নতা নয়। বস্তুত গুরুত্বের বিচারে কেউ কমসংখ্যক কারণগুলো উল্লেখ করেন আর কেউ একটু বিস্তারিত বলতে গিয়ে প্রকার বৃদ্ধি করেন। কারও আলোচনায় একটার মধ্যেই একাধিক কারণ চলে আসে, আবার কারও আলোচনায় প্রত্যেকটিকে আলাদা আলাদা করে বিচার…

আরো পড়ুনতাওহিদ বা ইমান ভঙ্গকারী বিষয়সমূহ

গণতন্ত্র কি? গণতন্ত্র ও শূরা এর মধ্যে পার্থক্য কি? পার্লামেন্টে অংশগ্রহণ করার বিধান কি?

আশ-শাইখ, আল্লামাহ নাসির বিন হামাদ আল-ফাহদ (فك الله أسره) -কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল:“গণতন্ত্রের অর্থ কী? এর সাথে শূরার পার্থক্য কী? এবং পার্লামেন্টে অংশগ্রহণ করার বিধান কী?” তিনি (আল্লাহ তাঁকে হিফাযত করুন) উত্তর দিয়েছেন: গণতন্ত্র হলো—জনগণের শাসন। এর অর্থ হলো, হালাল-হারাম নির্ধারণ ও আইন প্রণয়নের অধিকার জনগণের নিজের হাতে। এটি মূলত প্রাচীন গ্রিসে ঈসা আলাইহিস সালাম -এর জন্মের আগেই প্রচলিত ছিল, অতঃপর ইংরেজ বিপ্লব ও তারপর ফরাসি বিপ্লবের মাধ্যমে তা আরও বিকশিত হয়ে বর্তমানে প্রচলিত অবস্থানে পৌঁছেছে। এটি সুস্পষ্ট কুফর। কারণ শাসন ও হুকুম দেওয়ার অধিকার একমাত্র আল্লাহর, তাঁর কোনো শরিক নেই। আল্লাহ سبحانه وتعالى বলেন:وَلا يُشرِكُ في حُكمِهِ أَحَدًا“আর তিনি তাঁর হুকুমে কাউকে শরিক করেন না।” [ সূরা কাহফ, আয়াত নং- ২৬] “গণতন্ত্র ও শূরার মাঝে পার্থক্য — ঠিক যেমন ব্যভিচার (জিনা) আর বৈধ বিবাহ (নিকাহ)-এর মাঝে পার্থক্য; বরং এ দুয়ের পার্থক্যের চেয়েও গভীর।” এর কারণসমূহ নিম্নরূপ: ▪️প্রথমত:শূরা কেবল ইজতিহাদী বিষয়ে হয়—যেসব বিষয়ে স্পষ্ট ও সুস্পষ্ট দলিল নেই। আর যেসব বিষয়ে…

আরো পড়ুনগণতন্ত্র কি? গণতন্ত্র ও শূরা এর মধ্যে পার্থক্য কি? পার্লামেন্টে অংশগ্রহণ করার বিধান কি?

আগুন

❝শাইখ জারিহ(কাল্পনিক চরিত্র) তার পা গুটিয়ে বসলেন, ‘আমামাহ ঠিক করলেন এবং তাঁর চারপাশে বসে থাকা ছাত্রদের দিকে মুখ ফেরালেন। তারা এমনভাবে বসেছিল যেন তাদের মাথার ওপর পাখি বসে আছে। শাইখ বললেন,“বৎস, গতকালের পাঠে আমরা কোথায় পৌঁছেছিলাম?” ছাত্র বলল,“আমরা এই বক্তব্যে পৌঁছেছিলাম: ‘জামাআহ হচ্ছে সেটাই যা হকের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ, এমনকি তুমি যদি একাও হও।’” শাইখ বললেন,“হ্যাঁ, হ্যাঁ, এবং আমি বলেছিলাম: হক্ব হচ্ছে সেটাই যা আমাদের পবিত্র জামাআহ অনুসরণ করে। আর যে ব্যক্তি আমাদের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করে, সে জামাআহ থেকে বের হয়ে গেছে, সে দ্বীনে বিদআত সৃষ্টি করেছে এবং মুমিনদের পথের বিরুদ্ধে গিয়েছে, এবং…” হঠাৎ, দরজায় জোরে কড়া নাড়ার শব্দ শোনা গেল… শাইখ তাঁর কথা থামালেন এবং একজন ছাত্রকে দরজা খুলতে বললেন। সে দরজা খুললে দেখা গেল একজন এলোমেলো চুলের, কালো মুখের লোক দাঁড়িয়ে আছে, চিৎকার করে বলছে,“হে শাইখ… হে শাইখ… আদিলের বাড়িতে আগুন লেগেছে…” শাইখ বসা অবস্থাতেই উৎসের দিকে ফিরে বললেন,“তা আমার কী করার?” লোকটি বলল,“আমরা চাই আপনি এবং আপনার…

আরো পড়ুনআগুন

মুসলিমদের বিরুদ্ধে কাফিরদের সহায়তাকারীদের কুফরের সংশয় নিরসন।

নিশ্চয়ই মুসলিমদের বিরুদ্ধে কাফিরদের সাহায্য ও সমর্থন করা—এটি এমন এক কুফরি কাজ যা একজন ব্যক্তিকে ইসলাম থেকে বের করে দেয়। এই বিষয়ে অতীত ও বর্তমান সকল যুগের সম্মানিত এবং নির্ভরযোগ্য উলামায়ে কেরাম একমত। শাইখ, ইমাম, মুজাদ্দিদ মুহাম্মাদ ইবনু ‘আবদুল ওহ্হাব (রহিমাহুল্লাহ) বলেছেন: অষ্টম ইসলাম বিনষ্টকারী বিষয়: মুশরিকদেরকে সমর্থন করা এবং তাদের মুসলিমদের বিরুদ্ধে সহায়তা ও সাহায্য করা। এর দলিল হলো মহান আল্লাহর ﷻ বাণী: “ومن يتولهم منكم فإنه منهم إن الله لا يهدي القوم الظالمين”“তোমাদের মধ্যে যারা তাদের বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করবে, নিশ্চয়ই সে তাদেরই একজন। নিশ্চয়ই আল্লাহ জালিমদেরকে হিদায়াত দেন না।”(সূরা মায়িদাহ, আয়াত- ৫১) আল্লামাহ আবদুল্লাহ ইবনু আবদুল লতীফ (রহিমাহুল্লাহ)-কে মুওয়ালাত (ভালোবাসা) ও তাওয়াল্লি (আনুগত্য/সহযোগিতা) এর মাঝে পার্থক্য সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন:“তাওয়াল্লি হল এমন এক কুফরি কাজ যা ইসলাম থেকে বের করে দেয়, যেমন তাদের (কাফিরদের) সাহায্য করা জীবন, সম্পদ ও মতামতের মাধ্যমে…” শাইখ, আল্লামাহ আহমদ শাকির (রহিমাহুল্লাহ) কাফিরদের সহায়তা ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশগ্রহণের হুকুম ব্যাখ্যা…

আরো পড়ুনমুসলিমদের বিরুদ্ধে কাফিরদের সহায়তাকারীদের কুফরের সংশয় নিরসন।

গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় দ্বীন কায়েম

বাংলাদেশে যারা দ্বীন কায়েমের অভিপ্রায়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে সক্রিয় রয়েছেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় দ্বীন কায়েমের জন্য নিরন্তর প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন, তাদের ইখলাস নিয়ে আপত্তি না থাকলেও কর্মপদ্ধতি নিয়ে সঙ্গত কারণেই আপত্তি তুলতে হচ্ছে। তাদের কর্মপদ্ধতি যে-শতভাগ ভুল এবং শরীআহ ও বাস্তবতা বিবর্জিত তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে তো এ কথা দ্ব্যর্থহীনভাবে প্রমাণিত যে, গণতন্ত্র সুস্পষ্ট কুফর ও শিরক। গণতন্ত্রকে আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করা, গণতন্ত্রকে সমর্থন করা, দ্বীন কায়েমের উদ্দেশ্যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করা কুফরি ও শিরকি। এই প্রবন্ধে বাস্তবতার নিরিখেও এটা প্রমাণ করবো যে, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে দ্বীন কায়েমের জন্য আমরণ চেষ্টা করা যেতে পারে, তবে তাতে এক ইঞ্চি জমিনেও দ্বীন কায়েম হবে না। বরঞ্চ এতে আরও দ্বীনের অঙ্গহানি হবে। এবং ইতিমধ্যেই দ্বীনের যে-অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে তা বিচক্ষণ, বিবেকবান ও প্রজ্ঞাবান ব্যক্তিদের কারও কাছেই অজানা নয়। এভাবে চলতে থাকলে মানুষ দ্বীন বিমুখ হবে, খিলাফাহ বিমুখ হবে। সর্বোপরি ঈমানহারা হয়ে জাহান্নামে যাবে, নায়ূযুবিল্লাহ।বাংলাদেশ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র। যার‌ নিজস্ব গঠনতন্ত্র ও সংবিধান…

আরো পড়ুনগণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় দ্বীন কায়েম

ঈদে মিলাদুন্নবির এক্সরে রিপোর্ট

‘ঈদ’ (عيد) শব্দটি মূলত ‘আওদুন’ (عود) থেকে নির্গত। এর শাব্দিক অর্থ ফিরে আসা। ‘ঈদ’ বলা হয় এমন উৎসব দিবসকে, যেদিনে মানুষের সম্মেলন হয় কিংবা ফজিলতপূর্ণ বা অতীতের গুরুত্ববহ কোনো ঘটনার স্মৃতিচারণ করা হয়। বলা হয়ে থাকে, যেহেতু ঈদ প্রতি বছর মানুষের মাঝে নতুন আনন্দ নিয়ে ফিরে আসে, এজন্য এ দিবসকে ‘ঈদ’ নামকরণ করা হয়েছে। (আল-মুনজিদ : পৃ. নং ৫৩৬, প্রকাশনী : আল-মাতবাআতুল কাসুলিকিয়্যা, বৈরুত) আর ‘মিলাদ’ (ميلاد) শব্দটি ‘বিলাদাতুন’ (ولادة) থেকে নির্গত। এর অর্থ সন্তান প্রসব করা। শব্দটি আরবি ভাষায় ইসমে জরফ ظرف) (اسم এর সিগা। শাস্ত্র অনুযায়ী ইসমে জরফের ميم যদিও জবরযুক্ত হওয়া নিয়ম, কিন্তু খেলাফে কিয়াস কখনো জেরযুক্তও ব্যবহৃত হয়। যেমন منبر (মিম্বর), مينار (মিনার) ইত্যাদি। সুতরাং ইসমে জরফ হিসেবে এর অর্থ হবে, জন্মকাল। (লিসানুল আরব : পৃ. নং ৪৯১৫, প্রকাশনী : দারুল মাআরিফ, বৈরুত; আল-মুজামুল অসিত : ২/১০৫৬, প্রকাশনী : দারুদ দাওয়াহ, ইসকান্দারিয়া) পরিভাষায় সাধারণত ‘ঈদে মিলাদুন্নবি’ বলতে আমাদের নবি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর জন্মবৃত্তান্ত…

আরো পড়ুনঈদে মিলাদুন্নবির এক্সরে রিপোর্ট